সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় ১১জন আন্তঃজেলা ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তারা হলো, সিরাজগঞ্জের বাতিয়া গ্রামের জীবন পারভেজ রেজা (৪৭), বাচ্চু মিয়া (৪৭), রবিউল করিম (৪৫), মৌলভীবাজারের করতল গ্রামের আবজাল মিয়া উজ্জ্বল (৪০), ঝালকাঠির জুরকাঠি গ্রামের জয় (৪০, চাঁদপুরের সাতবাড়িয়া গ্রামের সুমন মিয়া (৪০), শেরপুরের ধাতুয়া গ্রামের সুমন (৪৭), পিরোজপুরের বড়মাছুয়া গ্রামের শাহাদাত হোসেন (৫৫), জয়পুরহাটের মানিকপাড়ার আপেল (৩৬), পাবনার নবীন প‚র্বপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৪৪) ও চাঁদপুরের ভুটাল হাজিবাড়ি গ্রামের মোস্তফা কামাল জয় (৪৭)।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. জিয়াউর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর বিকেলে ওই ব্যাংকিংয়ে কর্মরত মামুনুর রশিদ ও জোনায়েদ রহমান মিরাজ তাদের শাখা ব্যাংক থেকে ২৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর ডাচ্ বাংলা এজেন্ট আউটলেট এবং কয়ড়া ডাচ্ বাংলা আউটলেটের টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিল।
এ সময় পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের উল্লাপাড়া পৌরএলাকায় ডাকাতরা একটি মাইক্রোবাস থেকে র্যাবের কটি পড়ে ৫/৬ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেলটি সংকেত দিয়ে থামায় এবং জোরপূর্বক টাকার ব্যাগসহ মাইক্রোবাসের মধ্যে তুলে নিয়ে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেয়। এছাড়া তাদের চোখ ও হাত বাঁধাসহ মারপিট করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থাকা উল্লেখিত টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং তাদেরকে রাজশাহী-বনপাড়া মহাসড়কের তাড়াশ উপজেলার হামকুরিয়া এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায়। এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের বিশেষ নির্দেশনায় এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) তত্ত¡াবধানে চৌকস পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়। এ টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ডাকাতদের শনাক্ত করে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি মাইক্রোবাস, ১টি মোটরসাইকেল, ১ জোড়া হ্যান্ডকাফ, র্যাবের ২টি কটি, ১টি খেলনা পিস্তল, ১টি ওয়াকি-টকি, ১৭টি মোবাইল ও লুট হওয়া টাকার মধ্যে কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।